দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ (১৮ই  ডিসেম্বর) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কুন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল ঋষিপাড়া এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন—উমা রানী (৬০), তার মেয়ে বিনা চক্রবর্তী (৪০), ছেলে দেবা চক্রবর্তী (২৮) ও নাতি পিনাক চক্রবর্তী (১৫)। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আর আহত দুজন হলেন—প্রতিবেশী লিপি চক্রবর্তী (৩০) ও পথচারী স্বপন রাজবংশী (৫৫)।

উমা রানীর নাতনি জ্যোতি দাস জানান, চারতলা বাড়িটি তাদের নিজেদের। তারা রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতেন। নিচতলায় থাকেন উমা রানী এবং তার ছেলে ও মেয়ের পরিবার।

তিনি আরও জানান, সকালে উমা রানী রান্না করার জন্য রান্না ঘরে যান। সেখানে গিয়ে দেশলাই জ্বালাতেই বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আর বাসার দেয়াল কিছু অংশ ভেঙে পড়ে যায়। পরে তারা দগ্ধদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

এ দিকে আহত লিপি চক্রবর্তীর ছোট ভাই সৌরভ আচার্য জানান, লিপির বাসা ওই বাড়ির পাশেই। সকালে যখন বাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয় তখন সেখান থেকে দেয়ালের ইট এসে লিপির মাথায় লাগে।

আহত স্বপনের শ্যালক তপন রাজবংশী জানান, স্বপন রাজবংশী পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। থাকেন ওই এলাকাতেই। সকালে ওই বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন বিস্ফোরণে ইট এবং সাটার ভেঙে এসে তার মাথায় পড়ে।

এ বিষয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেরানীগঞ্জ থেকে চারজন দগ্ধ ইনস্টিটিউটে এসেছেন। দুজন পুরুষ, দুজন নারী। এদের মধ্যে উমা রানীর শরীরের ৯৫ শতাংশ, বিনা চক্রবর্তীর ৮৫, দেবা চক্রবর্তীর ১৬ ও পিনাক চক্রবর্তীর ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ৪ জনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাদের সবার অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মিয়া জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুজন ঢাকা মেডিকেলে এসেছে। দুজনেরই মাথায় আঘাত আছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।